সর্বশেষ সংবাদ

আমাদের স্লোগানঃ

জাতীয়তাবাদ সেবা ঐক্য প্রগতি

৩১শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার।

তারেক রহমান

( ১৯৬৭ সালের ২০ নভেম্বর জন্মগ্রহন করেন)

তারেক রহমান ১৯৬৭ সালের ২০ নভেম্বর জন্মগ্রহন করেন।তার পিতা জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক,মুক্তিযুদ্ধের এক নং সেক্টর কমান্ডার ও বিখ্যাত ‘জেড-ফোর্স’ অধিনায়ক।

মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাবে ভ‚ষিত হন। মা খালেদা জিয়া বাংলাদেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের আপমর জনসাধারণের কাছে সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রী।
তারেক রহমান দেশসেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন।এরপর তিনি ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্ত্তি হয়ে পড়াশুনা করেন।১৯৮৮ সালে তিনি স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।

তারেক রহমান ১৯৯৪ সালে সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কন্যা ড. জুবাইদা খানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ড.জোবায়দা রহমান সম্প্রতি লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজ থেকে চার বছরের মাস্টার্স অব কার্ডিওলজি কোর্স সম্পূর্ণ করেন। তিনি ডিস্টিংশনসহ শতকরা ৮৩ ভাগ নাম্বার পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এই কোর্সে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইউই), কমনওয়েলথভুক্ত দেশ নাইজেরিয়া এবং চীনসহ মোট ৫৫টি দেশের ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ডা. জোবায়দা রহমান সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে প্রথম হয়েছেন। তারেক রহমান এবং ডা. জোবাইদা রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমা রহমান বার অ্যাট-ল ডিগ্রী অর্জন করেছেন। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ‘ইনার টেম্পল’ থেকে বার অ্যাট ল’ (লিঙ্কস ইন) করেন তিনি। এর আগে তিনি লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন করেন

রাজনীতিতে পথ চলা

তারেক রহমান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর জন্মভ‚মি বগুড়ার গাবতলী উপজেলা বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করে ১৯৮৮ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন।১৯৯৩ সালের জুন মাসের সম্মেলনে তিনি বগুড়া জেলা বিএনপির সদস্য হন।২০০২ সালের ২২ জুন তারিখে বিএনপির নীতি নির্ধারনী জাতীয় স্থায়ী কমিটি সর্বসম্মতক্রমে তাকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদে নিয়োগ দেয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদে যোগদান করেই দলের চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য নান কর্মসূচী গ্রহণ করেন।তৃনমুল নেতাকর্মীদের দলের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে এবং তৃনমূলের সাধারন মানুষের অভাব-অভিযোগ ও প্রয়োজন সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে তিনি ‘তৃনমূল প্রতিনিধি সভা’ নামে একটি কর্মসূচী প্রতিটি জেলায় বাস্তবায়ন করেন। তৃনমূল নেতাদের নিয়ে ৬ টি বিভাগে আলাদা আলাদা সম্মেলন করেন।এতে করে সাধারণ নেতাকর্মীদের চাওয়া-পাওয়ার সাথে দলের শীর্য পর্যায়ের নেতাদের পরিচয় ঘটে এবং দলীয় কর্মসূচী,সাংগঠনিক কার্যক্রম ও এলাকার উন্নয়নে তার প্রতিফলন ঘটে। তারেক রহমান একুশ শতকের বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক উদীয়মান নক্ষত্র।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিতে তিনি মূখ্য হয়ে উঠেছেন।বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারেক রহমানের আগমনে তরুণ-কর্মীদের মনে উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।তার কর্মে-কথায় -আচরণে তৃণমূল মানুষের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে।জোয়ার উঠেছে একত্রে কাজ করার। গড়ে উঠতে শুরু করেছিল জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক গণ-ঐক্য। তৃনমূল পর্যায়ে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন তারেক রহমান।সাধারণ মানুষের সামস্যার কথা সারাসরি শ্রবণ করে সমাধানের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এক নতুন ইতিহাস গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন।তিনি বিলুপ্ত মানবিক মূল্যবোধকে ফিরিয়ে আনতে এক অনন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মাঝে গড়ে তোলেন ভ্রাতৃত্বের বন্ধন।এক একটি সাধারণ হাত হয়ে ওঠে তখন কর্মীর হাতিয়ার। নারীর ক্ষমতায়নে শিক্ষার আলো জ্বালাতে তিনি কিছু কর্মসূচী গ্রহণ করেন। ফলে নারীরা সমাজ ও জাতি গঠনে এগিয়ে আসার মানসিক প্রস্তুতি নেন। পল্লী উন্নয়নে তারেক রহমান গ্রহণ করেন যুগান্তকারী পদক্ষেপ। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মাঝে অক্ষরজ্ঞান দান,জীবনমুখী শিক্ষার প্রসার,স্বাস্থ্য সচেতনা সৃষ্টি করা,বিদ্যুতায়ন প্রক্রিয়া ও যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়নের জন্যও তিনি সার্বিক প্রায়াস চালাতে সচেষ্ট হন। মূলত গ্রাম উন্নয়নের মাধ্যমেই বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব বলে তারেক রহমান পল্লী উন্নয়নের ব্যাপারে যথাসাধ্য চেষ্টা চালান।তিনি মনে করেন,আলোকিত গ্রামই আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার পূর্বশর্ত।তারেক রহমান দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচী,বন্যা-সিডর-আইলা-মঙ্গা ইত্যাদিতে ক্ষতিগ্রস্তদের পনর্বাসন কার্যক্রম, শিশু স্বাস্থ্য সচেতনতা,মেডিকেল ক্যাম্প, উন্নত বীজ ও সুপেয় পানি প্রকল্প, বৃত্তি প্রকল্প এবং ব্যাপক ভিত্তিক সামাজিক বনায়ন কর্মসূচী গ্রহন করে মানুষের আশা ও উদ্দীপনা সঞ্চার করতে সক্ষম হয়েছেন। এমনকি ছাত্র রাজনীতির ক্ষেত্রেও তিনি ফলপ্রসূ কল্যাণকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

ছাত্র রাজনীতে থেকে পেশীশক্তির ব্যবহার বন্ধ করে মেধা ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি চর্চা করার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করেছেন। তারেক রহমান একজন পোড় খাওয়া মানুষ। শিশু তারেকের বয়স যখন পাঁচ বছর তখন তার বাবা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে।তখন তিনি দেখেছেন কি ভয়ানক অনিশ্চয়তা ও গভীর উৎকন্ঠা।তার বয়স যখন মাত্র দশ, তখন তার বাবা ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে কিভাবে দেশের প্রয়োজনে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি যখন ষোল বছরের সদ্য কিশোর, তখন তখন তিনি তার মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে কফিনে মোড়ানো তার পিতার ক্ষতবিক্ষত লাশ দখে আঁতকে উঠেছেন। তিনি দেখেছেন কিভাবে তার মা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন,দল গঠন করেছেন এবং ক্ষামতায় গিয়েছেন। অর্থাৎ তারেক রহমান তার জীবনযাপনের প্রতিটি দিনই রাজনীতির পাঠ নিয়েছেন। বিএনপির কর্মকান্ডে তিনি তার দূরদৃষ্টি, মেধা ও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন।আর তিনি যে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেন তাও তৃনমূলের রাজনীতিকে দলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করেরাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন।তিনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে রাজনীতি ও সামাজিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে গণমুখী মুখী করা চেষ্টা করেছেন। ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে তারেক রহমানকে দলের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করা হয়।

কুচক্রী মহলের টার্গেটে তারেক রহমান

১৯৯১-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৬ দুই মেয়াদকালে পূর্নমেয়াদে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সরকার দেশ পরিচালনা করেন। এসময় দেশে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপধারণ করে এবং উন্নয়নের জোয়ার আসে।বর্হিবিশ্বে দেশ পরিচিতি লাভ করে ইমার্জিং টাইগার হিসেবে।পাশাপাশি একটি মহল লিপ্ত হয়ে পড়ে দেশ ও বিএনপি বিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রে। এই ষড়যন্ত্রের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর কিংবা তাঁবেদার রাষ্টে পরিণত করা।এসব কাজে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে জিয়া পরিবার।আর সে জন্যই তারা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে দেশে নেমে আসে ওয়ান-ইলেভেন নামক অবৈধ, অসাংবিধানিক তত্ত¡াবধায়ক সরকার। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারী দেশে তত্ত¡াবধাক সরকারের আড়ালে সেনাশাসন চালু হয়।জরুরী অবস্থা ঘোষনা করা হয়। আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের ফসল এই অবৈধ ফকরুউদ্দীন-মঈনুদ্দীন সরকার মূলত বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্যই ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল।নামকাওয়াস্তে আওয়ামী প্রধানসহ তাদের কিছু নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করলেও তারা প্রকৃতপক্ষে সকল বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনী,টাস্কফোর্স ইত্যাদির মাধ্যমে মামলা,হয়রানী,নির্যাতন ও জুলুম চালিয়ে বিএনপির তৃনমূল পর্যায়ের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙ্গে ফেলার প্রায়াস চলায়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ বিএনপির শীর্যস্থানীয় প্রায় সকল নেতাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষোপ করে। তাদের সমস্ত ক্লেশ পড়ে বিএনপির ভবিষ্যত কান্ডারী তারেক রহমানের ওপর। অথচ তখন তিনি সরকারের এমপি,মন্ত্রী বা কোন গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বে ছিলেন না। ২০০৭ সালের ৭ মার্চ গ্রেফতারের পরেই তার ওপর পৈশাচিক কায়দায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়।বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা,বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দিয়ে তার সুনাম ক্ষুন্ন করার হীন প্রয়াস চালানো হয়।কিছুদিনের মধ্যেই রিমান্ডের নামে অমানবিক নির্যাতনে তারেক রহমানের স্বাস্থ্যের চরম অবনতি ঘটে।এতে করে দেশে এবং বিদেশে ফখরুদ্দীন সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ ওঠে।২০০৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তারিখে তিনি জামিনে মুক্তি পান। চিকিৎসার প্রয়োজনে হাসপাতাল থেকেই লন্ডনের উদ্দেশে একই বছরের ১১ সেপ্টম্বর তারিখে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। তারেক রহমান আজ এদেশের মাটি ও মানুষ থেকে অনেক দূরে।কিন্তু তাই বলে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র আজো থেমে নেই। কারণ তারা জানে তারেক রহমান বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুক, তিনি অনেক বেশি শক্তিশালী।তার দেশপ্রেমকে আধিপত্যবাদীদের বড় ভয় হয়।তারেক রহমান জাতীয়তাবাদী শক্তির কর্ণধর,আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে একটি দ্রোহ এবং বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুয়ের কন্ঠস্বর।

  • কর্মময় জীবন : বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে তারেক রহমান।তাঁর রাজনৈতিক চিন্তাধারা বাংলাদশের ৬৮ হাজার গ্রামে সৃষ্টি করেছে নতুনতর আশার দিক-নির্দেশনা।তিনি সরকারের কোন পদে ছিলেন না, তবুও দেশের ও সাধারণ মানুষের উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন।বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে তার ভ‚মিকা ছিল অপরিসীম।কৃষক,শ্রমিক,শীতার্ত,ক্ষুধার্ত, বন্যা-খরা ও যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে তিন ছুটে বেড়িয়েছেন টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া।
  • দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচী : বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষকে স্বনির্ভর করার উদ্দেশ্যে ২০০৩ সালের ফেব্রæয়ারী মাস হতে শুরু হয় দেশব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচী।চলমান এ প্রকল্পে তারেক রহমান দেশব্যাপী ৩৮৬২টি পরিবারের মধ্যে উন্নত জাতের হাঁস-মুরগী ও ছাগল বিতরণ করা হয়।প্রতিটি পরিবারকে ১ টি ছাগল,৮ টি হাঁস ও ১০ টি মুরগী বিতরণ করা হয়।এছাড়াও বিভিন্ন জলাধাওে প্রায় ২ লাখ মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
  • আ্যাজমা কেয়ার এ্যান্ড প্রিভেনশন সেন্টার : বাংলাদেশের জনসংখ্যার শতকারা ৫ ভাগ মানুষ অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত।সরকারি ব্যবস্থাপনায় ঢাকার অ্যাজমা সেন্টারটি একমাত্র সমন্বিত অ্যাজমা ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র।কিন্তু বিশাল জনগোষ্ঠির জন্য মাত্র একটি কেন্দ্র অপ্রতুল হওয়ায় তারেক রহমানের উদ্যোগে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ২০০৩ সালের ১৪ মে বগুড়ায় এবং পরবর্তীতে ২০০৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী চট্রগ্রামে অ্যাজমা কেয়ার এন্ড প্রিভেনশন সেন্টার গড়ে তোলা হয়।
  • কমল বীজ প্রকল্প : বাংলাদেশ মূলত কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষকেরা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।কিন্তু অবিশ্বাস্য বিষয় হচ্ছে মাত্র ৭ ভাগ কৃষক উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার করে।তারেক রহমান কমল বীজ প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নত জাতের বীজ তৈরি কওে ন্যাষ্যমূল্যে তা কৃষকদেও সরবরাহ করার পাশাপাশি কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।বীজ উৎপাদন এলাগুলো ছিল ভালুকা, কটিয়াদি, সাভার ও গাজীপুর।
  • বৃত্তি প্রকল্প : গরীর মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি প্রকল্পটি ছিল তারেক রহমানের যুগান্তকারী চিন্তার ফসল।সারাদেশে এসএসসি পরীক্ষায় এ+ পেয়েছে কিন্তু পরবর্তীতে আর্থিক অসচ্ছলতার কারনে উচ্চ শিক্ষা হতে বঞ্চিত হয় তাদের মধ্যে বৃত্তি প্রদানের প্রকল্প গ্রহন করা হয।
  • স্বাস্থ্য ক্যাম্প : মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর জন্মবার্ষিকি,জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে তারেক রহমানের নির্দেশনায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন হেলথ ক্যাম্পের আয়োজন করে।উক্ত হেলথ ক্যাম্পে বিনামূল্যে হাজার হাজার গরীব রোগীতে চিকিৎসাসেবা সহ ওষুধ বিতরণ করা হয়।
  • প্লাস্টিক সার্জারী ক্যাম্প : গ্রামের অসহায় পরবারে ঠোঁটকাটা ,তালুকাটা ও পোড়া রোগীদেরকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য তারেক রহমানের উদ্যেগে প্লাস্টিক ও রিকন্সট্রাকটিভ ক্যাম্প করা হয়।জর্মান বিশেষজ্ঞ প্লাস্টিক সার্জারী টিমকে বাংলাদেশে এনে বগুড়া,খুলনা ও গাইবান্ধায় ক্যাম্প স্থপন করে উন্নত চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।
  • বন্যা পুনর্বাসন কার্যক্রম : ২০০৪ সালে বন্যা-পরবর্তী বিপর্যয় রোধকল্পে বন্যাদূর্গত মানুষের চিকিৎসার্থে মেডেকেল টিম গঠন করে দেশের বিভিন্ন দূর্গত অঞ্চলে প্রেরণ করা হয়।উক্ত ক্যাম্পগুলোতে সর্বমোট ৩৩ হাজার বন্যার্ত রোগীকে চিকিৎসাসেবা ও বিনামূল্য ওষুধ প্রদান করা হয়।এছাড়াও গৃহহীন পরিবারগুলোতে সরকারী বরাদ্দ বাড়াতে তারেক রহমানের ভ‚মিকা অসামান্য।
  • সামাজিক বনায়ন: বাংলাদেশে প্রথম সামাজিক বনায়ন শুরু হয় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে।সেই ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখেন তারেক রহমান। সামাজিক বনায়নের ক্ষেত্রে তার সাফল্য ঈর্ষনীয়। বাংলাদেশের পরিবেশের ভারসাম্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং জনগণকে পরিবেশের ভারসাম্য সংরক্ষণ বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির নিমিত্তে ২০০৪ সাল হতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচী গ্রহণ করেন। এ কর্মসূচীর আওতায় ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন ফলজ ও নীমের চারা রোপণ করা হয়। মোট রোপনকৃত চারা প্রায় -৫০৮০০০ টি।
  • শহীদ জিয়াউর রহমান শিশু হাসপাতাল : শিশুদের উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান,শিশু মৃত্যুহার হ্রাস এছাড়াও ডাক্তার ও নার্সদের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের কথা চিন্তা করে বগুড়ায় ৭০ শয্যাবিশিষ্ট উন্নতমানের একটি শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়।এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৃহত্তর উত্তরাঞ্চলে শিশুদের বিভিন্ন জটিল রোগ নিরূপন ও চিকিৎসাসেবা সহ জনসচেতনা তৈরি করা সম্ভব হবে।এ হাসপাতালটি তারেক রহমানের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
  • কমল পানি প্রকল্প : ঢাকা শহরের পয়ঃনিষ্কাশন প্রনালী দাশেরকান্দির ওপর দিয়ে বহমান হওয়ায় এ এলাকায় মানুষ বিশুদ্ধ পানির মারাত্মক সংকটে দীর্ঘদিন যাবত কষ্ট করছিল।ঢাকার খিলগাঁও ধানাথীন নাসিরাবাদ ইউনিয়নের দাশেরকান্দি গ্রামে বিশুদ্ধ পানির সরবরাহের দায়িত্ব নিয়ে বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর সহযোগিতায় কমল পানি প্রকল্প শুরু হয়।
  • স্মরনীয় কাজ সমূহ :

১. ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল তারেক রহমান বরিশাল জেলার গৌরনদীর কুতুবপুর গ্রামে খাল পুন:খনন কাজের উদ্বাধন করেন। তিনি নিজেই কোদাল হাতে নিয়ে মাটি খনন করে স্থানীয় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেন।

২. ২০০৩ সালের ১৮ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃষকদের অবস্থা দেখতে সেখানে ছুটে যান। সারাদিন কৃষকদের সঙ্গে কাটান তিনি।সেখানে তিনি অগ্রণী সেচ প্রকল্প পরিদর্শন,চাষীদের মাঝে ব্রি-২৯ ধানের বীজ বিতরণ,দুস্থদের মাঝে ছাগল,হাঁস-মুরগী, কৃষকদেও মাঝে লিচুর চারা, পোকামাকড় দমনের জন্য সুইপিং নেট ও হ্যাচাক বিতরণ করেন।

৩.২০০৩ সালের ১৫ এপ্রিল তারেক রহমান ছুটে যান কক্সবাজারে।সেখানে তিনি রামু,উখিয়া ও টেকনাফ ঘুরে ঘুরে কৃষক ও গরীব মানুষদের খোঁজ খবর নেন।২৯০ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে তিনি ছাগল,হাঁস-মুরগী ও কৃষি বীজ বিতরণ করেন।

৪. ২০০৩ সালে ৬ মে তারেক রহমান ছুটে যান ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে।সেখানে গিয়ে তিনি ২৬৮ টি দুঃস্থ পরিবারের মাঝে হাঁস-মুরগী ও ছাগল বিতরণ করেন।ঐ দিন কালীগঞ্জ বাজারে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় তিনি সমাজের বিত্তশালীদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।

৫.২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তিনি ছুটে যান সিলেট ও মৌলভীবাজারে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের খোঁজ-খবর নিতে।সেখানে তিনি কৃষকদের মাঝে ধান ও শাক-সবজির বীজ,সার, ছাগল ও হাঁস-মুরগী বিতরণ করেন।

৬.২০০৫ সালের ২৪ মে পূর্ব লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক বিশাল কর্মীসভায় বক্তব্য করেন। তিনি প্রবাসীদের দেশ গঠনে ভূমিকা রাখার আহবান জানান।

৭. আমেরিকা সফরে তারেক রহামান তথ্য-প্রযুক্তির বিখ্যাত মাইক্রোসফট অফিসে ভিজিট করেন।জনার চেষ্টা করেন বিশ্বজুড়ে মাইক্রোসফটের কাজকর্ম কিভাবে পরিচালিত হয়।তিনি চিন্তা করেন বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশে কিভাবে মাইক্রোসফটের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যায়।

  • রাজনৈতিক সাফল্য : ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জিতে আসার পিছনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে গবেষনা,মনিটরিং ও নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজির গুরুত্বপূর্ন অবদান ছিল।এরপর তৃনমূল পর্যায় থেকে বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে গড়ে তোলার কাজে তিনি মুন্সিয়ানার পরিচয় দেন। তার উদ্যোগে ‘তৃনমূল প্রতিনিধি’ সভা সেই সময় রাজনীতিতে সাড়া ফেলে। এভাবে তিনি একজন সফল সংগঠক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রæয়ারী বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন।সেই থেকে তিনি দিন-রাত পরিশ্রম করে বিএনপিসহ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো সুসংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

মানবাধিকারকে চরমভাবে পদদলিত করে তাঁবেদার শক্তি গোয়েবলসীয় কায়দায় তারেক রহমানের যে সীমাহীন মিথ্যাচার চালিয়েছে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে যে নির্যাতন ও নিপীড়ন করেছে বাংলাদেশের জনগণসহ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের কোটি কোটি নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করেছে।আমাদের সকলেরই প্রত্যাশা শারীরিক সুস্থতা নিয়ে তিনি দেশে ফিরবেন এবং রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হয়ে দেশ সেবার কাজে আত্মনিয়োগ করবেন।আবার মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করবেন এমনটি প্রত্যাশা সকলের ———– ।

Scroll to Top